
হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ
- আপলোড সময় : ১২-০৩-২০২৫ ০১:৫০:১৬ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১২-০৩-২০২৫ ০১:৫০:১৬ অপরাহ্ন


রাজধানীর লালবাগ থানার হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরা ফেরা করলেও থানা পুলিশ জোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং মামলার আসামিরা বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। সূত্র জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে লালবাগ এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. রাসেল রাঢ়ী মীর হোসেন রাঢ়ী বাবু রাঢ়ী, নাজির ছৈয়াল, জাহাঙ্গীর ছৈয়াল ও মনির ছৈয়ালসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দলের সক্রিয় সদস্যরা হিমেল আহম্মেদরকে ও বাপ্পারাজকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তাদের কাছে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়। কোন কারণ ছাড়াই সন্ত্রাসীরা হিমেল আহম্মেদকে হত্যা করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। এ সময় সন্ত্রাসীদের বাধা দেয় রাপ্পারাজ তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে শ্যামলীস্থ ট্রমা সেন্টার ও এও অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমান হিমেল আহম্মেদ ও বাপ্পারাজের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় আহত হিমেল আহম্মেদের বাবা খলিল ছৈয়াল বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন। লালবাগ থানার মামলা নং-৩, তাং-৩-৩-২৫। ৮ দিন আগে মামলা হলেও এ পর্যন্ত থানা পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার করছে না। মামলার বাদী খলিল ছৈয়াল জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছেলে হিমেল আহম্মেদরকে সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। শুধু তাই নয় তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণের অংটি চেইন নিয়ে যায়। ঘটনার ২দিন পর পুলিশ মামলা নিলেও আজ পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করছে না। এদিকে আসামিরা প্রকাশ্যে এলাকার এসে বাদীর পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। সূত্র জানায়, লালবাগ থানার বিএনপির নেতা পরিচয়দানকারী কুদ্দুস বেপারী হাজী মোশারফসহ কয়েকজন মিলে উক্ত হত্যা চেষ্টা মামলাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার পায়তারা করছে।
কথিত বিএনপির নেতারা সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে পুলিশের সাথে দেন দরবার করছে। পুলিশ যাতে আসামিদের গ্রেফতার না করে সে জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে গোপন বৈঠক ও করেছে। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, আসামিদের ধরে থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ গ্রেফতার করবে। আসামিদের পুলিশের এই অনিহার কারণে আসামিদের ভয়ে বাদী এখন এলাকা ছাড়া। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা সহযোগীতা চান মামলার বাদী খলিল ছৈয়াল।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ